সূরা ইয়াসিন আল কোরআনের ৩৬ নম্বর সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল। এটি মোট ৮৩ আয়াত নিয়ে গঠিত এবং এই সূরাটিকে কোরআনের ‘হৃদয়’ বলা হয়। ইসলামের অনুসারীদের মাঝে সূরা ইয়াসিনের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকে এটি প্রতিদিন পাঠ করে, বিশেষ করে সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে। এই সুরা থেকে পবিত্র কোরআনের বিশালত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা পায় যায়।
সূরা ইয়াসিনের বাংলা উচ্চারণ, অর্থ
সূরা ইয়াসিনের উচ্চারণ এবং অর্থ তুলে ধরা হলো।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
অর্থ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
يس
উচ্চারণ : ইয়াসিন
অর্থ : ইয়া-সিন (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১)
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
উচ্চারণ : ওয়াল কোরআনিল হাকিম।
অর্থ : প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২)
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
উচ্চারণ : ইন্নাকা লামিনাল মুরসালিন।
অর্থ : নিশ্চয়ই আপনি প্রেরিত রাসুলগণের একজন। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩)
عَلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
উচ্চারণ : আলা সিরাতিম মুসতাকিম।
অর্থ : সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪)
تَنزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : তানজিলাল ‘আজিজির রাহিম।
অর্থ : কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ, (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫)
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
উচ্চারণ : লিতুনজিরা কাওমাম্মাউনজিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলুন।
অর্থ : যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব-পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬)
لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
উচ্চারণ : লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকসারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনুন।
অর্থ : তাদের অধিকাংশের জন্য শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭)
إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلاَلاً فَهِيَ إِلَى الأَذْقَانِ فَهُم مُّقْمَحُونَ
উচ্চারণ : ইন্না- যা‘আলনা-ফি আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আজকা-নি ফাহুম মুকমাহুন।
অর্থ : আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮)
وَجَعَلْنَا مِن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لاَ يُبْصِرُونَ
উচ্চারণ : ওয়া যা‘আল না-মিম বাইনি আইদিহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরুন।
অর্থ : আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদের আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৯)
وَسَوَاء عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ
উচ্চারণ : ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনজিরহুম লা-ইউ’মিনুন।
অর্থ : আপনি তাদের সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১০)
إِنَّمَا تُنذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَن بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ
উচ্চারণ : ইন্নামা-তুনজিরু মানিত্তাবা‘আজজিরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারিম।
অর্থ : আপনি কেবল তাদেরই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদের সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১১)
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
উচ্চারণ : ইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামুওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফিইমা-মিম মুবিন।
অর্থ : আমিই মৃতদের জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১২)
وَاضْرِبْ لَهُم مَّثَلاً أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءهَا الْمُرْسَلُونَ
উচ্চারণ : ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ ; ইযযাআহাল মুরছালুন।
অর্থ : আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসিদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসুল আগমন করেছিলেন। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৩)
إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُم مُّرْسَلُونَ
উচ্চারণ : ইজ আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাজযাবুহুমা-ফা‘আজঝাজনা-বিছা-লিছিন ফাকালুইন্নাইলাউকুম মুরছালুন।
অর্থ : আমি তাদের নিকট দুজন রাসুল প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর ওরা তাদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। তখন আমি তাদের শক্তিশালি করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। তারা সবাই বলল, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৪)
قَالُوا مَا أَنتُمْ إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَمَا أَنزَلَ الرَّحْمن مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلاَّ تَكْذِبُونَ
উচ্চারণ : কা-লুমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনঝালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকজিবুন।
অর্থ : তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, রহমান কিছুই নাজিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৫)
قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ
উচ্চারণ : কা-লুরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালুন।
অর্থ : রাসুলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার যানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৬)
وَمَا عَلَيْنَا إِلاَّ الْبَلاَغُ الْمُبِينُ
উচ্চার : ওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালাগুল মুবিন।
অর্থ : পরিষ্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়াই আমাদের দায়িত্ব। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৭)
قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِن لَّمْ تَنتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
উচ্চারণ : কা-লুইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহুলানারজুমান্নাকুম ওয়ালাইয়ামাছছান্নাকুম মিন্না-‘আজ-বুন আলিম।
অর্থ : তারা বলল, আমরা তোমাদের অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদের প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৮)
قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِن ذُكِّرْتُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُونَ
উচ্চারণ : কা-লুতাইরুকুম মা‘আকুম আইন জুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফুন।
অর্থ : রাসুলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কী এজন্য, আমরা তোমাদের সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুত- তোমরা সিমালংঘনকারি সম্প্রদায় বৈ নও। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৯)
وَجَاء مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ
উচ্চারণ : ওয়াযাআ মিন আকসাল মাদিনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালিন।
অর্থ : অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এলো। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রাসুলগণের অনুসরণ করো। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২০)
اتَّبِعُوا مَن لاَّ يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُم مُّهْتَدُونَ
উচ্চারণ : ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদুন।
অর্থ : অনুসরণ করো তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোনো বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২১)
وَمَا لِي لاَ أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
উচ্চারণ : ওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাজি ফাতারানি ওয়া ইলাইহি তুর যা‘উন
অর্থ : আমার কী হলো, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না? (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২২)
أَأَتَّخِذُ مِن دُونِهِ آلِهَةً إِن يُرِدْنِ الرَّحْمَن بِضُرٍّ لاَّ تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلاَ يُنقِذُونِ
উচ্চারণ : আআত্তাখিজুমিন দুনিহিআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নি শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিজুন।
অর্থ : আমি কী তাঁর পরিবর্তে অন্যদের উপাস্যরুপে গ্রহণ করব? করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনোই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৩)
إِنِّي إِذًا لَّفِي ضَلاَلٍ مُّبِينٍ
উচ্চারণ : ইন্নি ইযাল্লাফি দালা-লিম্মুবিন। লা-লিম্ মুবিন।
অর্থ : এরুপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৪)
إِنِّي آمَنتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
উচ্চারণ : ইন্নিআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন।
অর্থ : আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৫)
قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ
উচ্চারণ : কিলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমি ইয়া‘লামুন।
অর্থ : তাকে বলা হলো, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে যানতে পারত- [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৬ ]
بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ
উচ্চারণ : বিমাগাফিরলি রাববি ওয়া যা‘আলানি মিনাল মুকরামিন।
অর্থ : যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৭ ]
وَمَا أَنزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِن بَعْدِهِ مِنْ جُندٍ مِّنَ السَّمَاء وَمَا كُنَّا مُنزِلِينَ
উচ্চারণ : ওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহি মিম বা‘দিহি মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনজিলিন।স্ সামা-য়ি অমা- কুন্না-মুন্যিলিন্।
অর্থ : তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের ওপর আকাশ থেকে কোনো বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারিও না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৮ ]
إِن كَانَتْ إِلاَّ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ
উচ্চারণ : ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদুন।
অর্থ : বস্তুত- এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৯ ]
يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِم مِّن رَّسُولٍ إِلاَّ كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُون
উচ্চারণ : ইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তিহিম মির রাসুলিন ইল্লা-কা-নুবিহি ইয়াছতাহজিউন।
অর্থ : বান্দাদের জন্য আক্ষেপ, তাদের কাছে এমন কোন রাসুলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩০ ]
أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّنْ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لاَ يَرْجِعُونَ
উচ্চারণ : আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরুনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন।
অর্থ : তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩১ ]
وَإِن كُلٌّ لَّمَّا جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ
উচ্চারণ : ওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-যামি‘উল লাদাইনা-মুহদারুন।
অর্থ : ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩২ ]
وَآيَةٌ لَّهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ
উচ্চারণ : ওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলুন।
অর্থ : তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৩ ]
وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنْ الْعُيُونِ
উচ্চারণ : ওয়া যা‘আল না-ফিহা-জান্না-তিম মিন নাখিলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফিহামিনাল ‘উইঊন।
অর্থ : আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৪ ]
لِيَأْكُلُوا مِن ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
উচ্চারণ : লিয়াকুলু মিন্ ছামারিহি অমা ‘আমিলাত্হু আইদিহিম্; আফালা-ইয়াশ্কুরুন্।
অর্থ : যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৫ ]
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
উচ্চারণ : ছুবহা-নাল্লাজি খালাকাল আঝাওয়া-যা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামুন।
অর্থ : পবিত্র তিনি যিনি জমিন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা যানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৬ ]
وَآيَةٌ لَّهُمْ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُم مُّظْلِمُونَ
উচ্চারণ : ওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমুন।
অর্থ : তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৭ ]
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
উচ্চারণ : ওয়াশশামছুতাজরি লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদিরুল ‘আজিজিল ‘আলিম।
অর্থ : সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালি, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৮ ]
وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ
উচ্চারণ : ওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-ঝিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদিম।
অর্থ : চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনজিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরুপ হয়ে যায়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৯ ]
لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
উচ্চারণ : লাশশামছুইয়ামবাগি লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফি ফালাকিইঁ ইয়াছবাহুন।
অর্থ : সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪০ ]
وَآيَةٌ لَّهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
উচ্চারণ : ওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহুন।
অর্থ : তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪১ ]
وَخَلَقْنَا لَهُم مِّن مِّثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ
উচ্চারণ : ওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহি মা ইয়ারকাবুন।
অর্থ : এবং তাদের জন্য নৌকার অনুরুপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪২ ]
وَإِن نَّشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنقَذُونَ
উচ্চারণ : ওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারিখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাজুন।
অর্থ : আমি ইচ্ছা করলে তাদের নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৩ ]
إِلَّا رَحْمَةً مِّنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ
উচ্চারণ : ইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হিন।
অর্থ : কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদের কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৪ ]
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
উচ্চারণ : ওয়া ইযা-কিলা লাহুমুত্তাকু মা- বাইনা আইদিকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামুন।
অর্থ : আর যখন তাদের বলা হয়, তোমরা সামনের ও পেছনের কে ভয় করো, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৫ ]
وَمَا تَأْتِيهِم مِّنْ آيَةٍ مِّنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ
উচ্চারণ : ওয়ামা-তা’তিহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নু‘আনহা-মু‘রিদিন।
অর্থ : যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলির মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৬ ]
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمْ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَن لَّوْ يَشَاء اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
উচ্চারণ : ওয়া ইযা-কিলা লাহুম আনফিকুমিম্মা-রাঝাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাজিনা কাফারু লিল্লাজিনা আমানু আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহু ইন আনতুম ইল্লা-ফি দালা-লিম মুবিন।
অর্থ : যখন তাদের বলা হয়, আল্লাহ তোমাদের যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করো। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৭ ]
وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
উচ্চারণ : ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকিন।
অর্থ : তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বলো এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৮ ]
مَا يَنظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ
উচ্চারন : মা-ইয়ানজু রুনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুজুহুম ইয়াখিসসিমুন।
অর্থ : তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদের আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৯ ]
فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ
উচ্চারণ : ফালা-ইয়াছতাতি‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন।হিম্ ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
অর্থ : তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫০ ]
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُم مِّنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنسِلُونَ
উচ্চারণ : ওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলুন।লুন্।
অর্থ : শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫১ ]
قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَن بَعَثَنَا مِن مَّرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ
উচ্চারণ : কা-লুইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালুন।
অর্থ : তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উদিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রাসুলগণ সত্য বলেছিলেন। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫২ ]
إِن كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ
উচ্চারণ : ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম যামি‘উল লাদাইনা-মুহদারুন।
অর্থ : এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৩ ]
فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
উচ্চারণ : ফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালুন।
অর্থ : আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৪ ]
إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ
উচ্চারণ : ইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফি শুগুলিন ফা-কিহুন।
অর্থ : এদিন জান্নাতিরা আনন্দে মশগুল থাকবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৫ ]
هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِؤُونَ
উচ্চারণ : হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফি জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।
অর্থ : তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৬ ]
لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُم مَّا يَدَّعُونَ
উচ্চারণ : লাহুম ফিহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন।
অর্থ : সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফল-মুল এবং যা চাইবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৭ ]
سَلَامٌ قَوْلًا مِن رَّبٍّ رَّحِيمٍ
উচ্চারণ : ছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহিম।
অর্থ : করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৮ ]
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
উচ্চারণ : ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমুন।
অর্থ : হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৯ ]
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
উচ্চারণ : আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানিআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহুলাকুম ‘আদুওউম মুবিন।
অর্থ : হে বনি-আদম! আমি কি তোমাদের বলে রাখিনি, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬০ ]
وَأَنْ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ
উচ্চারণ : ওয়া আনি‘বুদু নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকিম।
অর্থ : এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬১ ]
وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنكُمْ جِبِلًّا كَثِيراً أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
উচ্চারণ : ওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছিরা- আফালাম তাকুনুতা‘কিলুন।
অর্থ : শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬২ ]
هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ
উচ্চারণ : হা-জিহি জাহান্নামুল্লাতি কুনতুম তু‘আদুন।
অর্থ : এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদের দেয়া হতো। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৩ ]
اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ
উচ্চারণ : ইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরুন।ক্ফুরুন্।
অর্থ : তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ করো। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৪ ]
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
উচ্চারণ : আলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদিহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নুইয়াকছিবুন।
অর্থ : আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৫ ]
وَلَوْ نَشَاء لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَ
উচ্চারণ : ওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরুন।
অর্থ : আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত! [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৬ ]
وَلَوْ نَشَاء لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ
উচ্চারণ : ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন।
অর্থ : আমি ইচ্ছা করলে তাদের স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৭ ]
وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
উচ্চারণ : ওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলুন।
অর্থ : আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৮ ]
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
উচ্চারণ : ওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগি লাহু ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কোরআ-নুম মুবিন।
অর্থ : আমি রাসুলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ ]
لِيُنذِرَ مَن كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ
উচ্চারণ : লিইউনজিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরিন।
অর্থ : যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭০ ]
أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
উচ্চারণ : আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদিনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকুন।
অর্থ : তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরি বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭১ ]
وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
উচ্চারণ : ওয়া জাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকুবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলুন।
অর্থ : আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭২ ]
وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
উচ্চারণ : ওয়া লাহুম ফিহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরুন।
অর্থ : তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৩ ]
وَاتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنصَرُونَ
উচ্চারণ : ওয়াত্তাখাজুমিন দুনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারুন।
অর্থ : তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৪ ]
لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُندٌ مُّحْضَرُونَ
উচ্চারণ : লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারুন।
অর্থ : অথচ এসব উপাস্য তাদের সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রুপে ধৃত হয়ে আসবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৫ ]
فَلَا يَحْزُنكَ قَوْلُهُمْ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
উচ্চারণ : ফালা-ইয়াহঝুনকা কাওলুহুম; ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররুনা ওয়ামা-ইউ‘লিনুন।
অর্থ : অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৬ ]
أَوَلَمْ يَرَ الْإِنسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ
উচ্চারণ : আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসিমুম মুবিন।
অর্থ : মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৭ ]
وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ
উচ্চারণ : ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহু কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইযা-মা ওয়া হিয়া রামিম।
অর্থ : সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৮ ]
قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ
উচ্চারণ : কুল ইউহয়ী হাল্লাজি আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলিমু।
অর্থ : বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৯]
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
উচ্চারণ : আল্লাজি জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইজা-আনতুম মিনহু তুকিদুন।
অর্থ : যিনি তোমাদের জন্য সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮০ ]
أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُم بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণ : আওয়া লাইছাল্লাজি খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলিম।
অর্থ : যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮১ ]
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ
উচ্চারণ : ইন্নামাআমরুহু ইজাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকুলা লাহুকুন ফাইয়াকুন।
অর্থ : তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, `হও’ তখনই তা হয়ে যায়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮২ ]
فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
উচ্চারণ : ফাছুবহা-নাল্লাজি বিয়াদিহি মালাকুতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।
অর্থ : অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮৩ ]
সূরা ইয়াসিনের ফজিলত
সূরা ইয়াসিনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন হাদিসে। নিম্নে কিছু উল্লেখযোগ্য ফজিলত আলোচনা করা হলো:
১. কোরআনের হৃদয়:
হাদিসে বলা হয়েছে, সূরা ইয়াসিনকে কোরআনের হৃদয় বলা হয়। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক জিনিসের একটি হৃদয় থাকে এবং কোরআনের হৃদয় হলো সূরা ইয়াসিন।”
২. কষ্ট দূর করা:
যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তার জীবনের কষ্ট ও সমস্যাগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় দূর হয়ে যায়। এটি মানুষকে মানসিক শান্তি প্রদান করে এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সাহায্য করে।
৩. মৃত্যুর সময়ে পাঠের গুরুত্ব:
যদি কেউ মৃত্যুশয্যায় থাকে এবং তার সামনে সূরা ইয়াসিন পাঠ করা হয়, তাহলে তার আত্মা শান্তিতে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। এমনকি বলা হয় যে, মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির জন্য এটি সহায়ক হতে পারে।
৪. রিজিক বৃদ্ধির জন্য:
যারা জীবিকার সংকটে ভোগেন, তাদের জন্য প্রতিদিন সূরা ইয়াসিন পাঠ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা রিজিকের বরকত বৃদ্ধি করেন এবং অভাব দূর করেন।
৫. ক্ষমা প্রার্থনা:
হাদিসে উল্লেখ আছে যে, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, আল্লাহ তার পাপ ক্ষমা করেন। এটি আমাদের পাপের বোঝা কমিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
সূরা ইয়াসিনের তাৎপর্য
সূরা ইয়াসিন এমন একটি সূরা যা আমাদের ঈমানকে দৃঢ় করে এবং আখিরাতের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্ট করে। এটি আল্লাহর আয়াত ও সৃষ্টির নিদর্শন নিয়ে আমাদের সচেতন করে এবং আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত হতে সহায়তা করে।
সূরা ইয়াসিন পাঠের সময়
যেকোনো সময় সূরা ইয়াসিন পাঠ করা যায়। তবে, বিশেষ করে সকালে অথবা রাতে এটি পাঠ করার ফজিলত বেশি। বিশেষ করে সকালে শুরুতে বা রাতে ঘুমানোর আগে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করা যায়।
উপসংহার
সূরা ইয়াসিন পাঠ করা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। এর ফজিলত ও তাৎপর্য আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভে সহায়ক। এটি শুধু কোরআনের একটি সূরা নয়, বরং এটি আমাদের জন্য একটি পরিত্রাণের রাস্তা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে কোরআনের শিক্ষা গ্রহণ করার তৌফিক দিন।
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
১. প্রতিদিন সূরা ইয়াসিন পাঠের কি ফজিলত আছে?
প্রতিদিন সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে আল্লাহর রহমত লাভ করা যায় এবং জীবনের কষ্ট দূর হয়।
২. মৃত্যুশয্যায় সূরা ইয়াসিন পাঠের ফজিলত কি?
মৃত্যুশয্যায় পাঠ করলে আত্মা শান্তিতে বিদায় নেয় এবং আখিরাতে সহজতা হয়।
৩. সকাল ও রাতে সূরা ইয়াসিন পাঠের গুরুত্ব কি?
সকাল ও রাতে পাঠ করলে আল্লাহর বরকত ও রহমত লাভ হয়।
৪. সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে কি পাপ মাফ হয়?
হ্যাঁ, নিয়মিত সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে আল্লাহ পাপ ক্ষমা করেন।
৫. কষ্ট দূর করার জন্য সূরা ইয়াসিন কিভাবে সাহায্য করে?
সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে আল্লাহর ইচ্ছায় জীবনের কষ্ট ও সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।
৬. সূরা ইয়াসিনের প্রথম কয়টি আয়াত বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
সূরা ইয়াসিনের প্রতিটি আয়াতই গুরুত্বপূর্ণ, তবে প্রথম কয়টি আয়াতের বিশেষ ফজিলত আছে।
৭. সূরা ইয়াসিন কোরআনের কোন সূরা?
সূরা ইয়াসিন কোরআনের ৩৬ নম্বর সূরা।
৮. কোরআনের হৃদয় বলা হয় কোন সূরাকে?
কোরআনের হৃদয় বলা হয় সূরা ইয়াসিনকে।
৯. রিজিক বৃদ্ধির জন্য সূরা ইয়াসিন পাঠ করা কি সহায়ক?
হ্যাঁ, রিজিক বৃদ্ধির জন্য সূরা ইয়াসিন পাঠ করা সহায়ক।
১০. সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে কি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়?
হ্যাঁ, সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইয়াসিন ফজিলত, সূরা ইয়াসিন বাংলা অর্থ, কোরআনের হৃদয়, ইয়াসিন পাঠের ফজিলত, ইয়াসিন কোরআন, সূরা ইয়াসিন হাদিস, ইসলামিক সূরা, ইসলামিক শিক্ষা, সূরা ইয়াসিন বাংলা, মৃত্যুশয্যায় সূরা ইয়াসিন, সূরা ইয়াসিন অর্থ সহ, রিজিক বৃদ্ধির জন্য সূরা ইয়াসিন, সূরা ইয়াসিন মক্কায় অবতীর্ণ, সূরা ইয়াসিন সকাল ও রাত, আল্লাহর কাছে ক্ষমা, কষ্ট দূর করার জন্য সূরা, আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি, আল্লাহর রহমত, সূরা ইয়াসিন রিজিক, সূরা ইয়াসিন আয়াত, সূরা ইয়াসিন পাঠের গুরুত্ব, কষ্ট দূর করার সূরা, ইয়াসিন অর্থ, আল্লাহর নৈকট্য লাভ, সূরা ইয়াসিন জীবনের সমস্যার সমাধান, পাপ ক্ষমার জন্য সূরা, ইসলামিক ফজিলত, কোরআনের শিক্ষা, সূরা ইয়াসিন প্রতিদিন পাঠ।